ভারতের দ্রুত বিকাশমান মহাকাশ খাতকে আরও শক্তিশালী করতে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী $১১৯ মিলিয়ন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড ঘোষণা করেছেন। উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং মহাকাশ শিল্পে প্রবৃদ্ধি ঘটানোর উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। X (পূর্বে টুইটার) প্ল্যাটফর্মে এই খবর শেয়ার করে মোদি বলেন, “এই ফান্ডটি যুব সম্প্রদায়ের ওপর অসাধারণ প্রভাব ফেলবে,” যার উদ্দেশ্য ভারতের মানব সম্পদকে কাজে লাগিয়ে মহাকাশ খাতে অগ্রগতি সাধন করা।
নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত এই ফান্ডটি স্টার্টআপগুলোকে তাদের কার্যক্রম বাড়ানো, গবেষণা ও উন্নয়ন শক্তিশালী করা এবং কর্মীসংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ সরবরাহে মনোযোগ দেবে, এমনটাই জানানো হয়েছে সরকারি বিবৃতিতে। ফান্ডটি পাঁচ বছরের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের কোম্পানিগুলোকে সহায়তা প্রদান করবে, যা ভারতের বেসরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলোকে দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধির জন্য শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি বহন করে।
সম্প্রতি ভারত মহাকাশ ক্ষেত্রে একের পর এক অসামান্য অর্জন করেছে। ২০২৩ সালে Chandrayaan-3 মিশনের সফল অবতরণ, যেখানে ভারত প্রথমবারের মতো চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান অবতরণ করেছিল, তার অন্যতম উদাহরণ। এই কৃতিত্ব দেখায় যে ভারত বিদেশী প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীলতা না হয়ে নিজস্ব প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান বাজারের আকার প্রায় $৮.৪ বিলিয়ন হওয়ায়, ভারতীয় মহাকাশ অর্থনীতি একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটি সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, বৈশ্বিক মহাকাশ খাতেরও বছরে ৬% থেকে ৮% প্রবৃদ্ধির হার বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
নতুন এই ভেঞ্চার ফান্ড ভারতের মহাকাশ খাতকে উন্মুক্ত করার বৃহত্তর কৌশলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, যা স্যাটেলাইট প্রযুক্তি, উৎক্ষেপণ যান (Launch Vehicles), মহাকাশ অনুসন্ধান এবং ডেটা অ্যানালিটিক্সে ব্যক্তিগত বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই উদ্যোগটি তরুণ প্রতিভাদের আকৃষ্ট করে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে এবং বৈশ্বিক মহাকাশ ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।
তথ্যসূত্র: The Daily Star, FirstPost