Blue Origin সোমবার সকাল ৯টায় ইএসটি সময়ে তাদের নতুন মিশন NS-27 লঞ্চ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যেখানে প্রথমবারের মতো RSS Kármán Line ক্রু ক্যাপসুল ব্যবহার করা হবে। কোম্পানির মতে, এই ক্যাপসুলের পারফরম্যান্স উন্নত করা হয়েছে এবং পুনঃব্যবহারযোগ্যতার সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও ক্যাপসুলের বাহ্যিক ডিজাইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং বুস্টারে পেলোড স্থাপনের জন্য নতুন সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। Blue Origin তাদের একটি টুইট বার্তার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এই ফ্লাইটে Blue Origin-এর ‘Lunar Permanence’ প্রোগ্রামের জন্য দুটি LIDAR সেন্সর মহাকাশে নিয়ে যাওয়া হবে, যা চাঁদের ল্যান্ডার তৈরি করতে সহায়ক হবে। ফ্লাইটটিতে আরও ১২টি পেলোড থাকবে, যার মধ্যে রয়েছে আল্ট্রা-ওয়াইডব্যান্ড প্রোক্সিমিটি সেন্সর, ‘2001: A Space Odyssey‘ সিনেমার কালো মনোলিথের একটি প্রতিরূপ এবং Blue Origin-এর অলাভজনক সংস্থা ‘Club for the Future’-এর শিক্ষার্থীদের পাঠানো পোস্টকার্ড। কোম্পানিটি তাদের ওয়েবসাইটে এই লঞ্চটি সরাসরি সম্প্রচার করবে, যা লঞ্চের ১৫ মিনিট আগে থেকে শুরু হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে, এটি হবে মে মাসের পর NS-27-এর দ্বিতীয় ফ্লাইট, যখন কোম্পানি প্রথমবারের মতো ২০২২ সালের পর থেকে ক্রু মিশন পরিচালনা করেছিল। Blue Origin আগস্ট মাসেও আরেকটি NS-27 মিশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। Blue Origin তাদের একটি টুইট বার্তার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
New Shepard #NS27 is an uncrewed verification flight debuting our second human-rated vehicle to meet growing customer demand. The launch window opens on Monday, October 7, at 8:00 AM CDT / 13:00 UTC: https://t.co/GsOVDURo6R pic.twitter.com/UMarCeTgIL
— Blue Origin (@blueorigin) October 4, 2024
NS-27-এর আসন্ন ফ্লাইট এমন এক সময়ে আসছে, যখন Blue Origin স্পেসএক্সের সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য নিজেদের আরও শক্তিশালী করছে। কোম্পানির সিইও ডেভ লিম্প, যিনি গত বছর Amazon-এর হার্ডওয়্যার বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন, সিএনবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমাদের অনেক বেশি পরিমাণে জিনিস তৈরি করতে হবে যদি আমরা বিশ্বমানের প্রস্তুতকারক হতে চাই।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমাদের লক্ষ্য বছরের শেষ নাগাদ প্রতি সপ্তাহে একটি ইঞ্জিন তৈরি করা। তবে এটা ঠিক সপ্তাহের মধ্যেই সম্ভব হবে কি না তা বলা কঠিন, তবে আমরা ১০ দিনের মধ্যে তা সম্পন্ন করতে চাইছি। ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ এই প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হতে হবে।”
Blue Origin নভেম্বরে প্রথমবারের মতো তাদের বড় পুনঃব্যবহারযোগ্য বুস্টার নিউ গ্লেন উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে। রকেটটি ইতিমধ্যেই তার দ্বিতীয় ধাপের হট ফায়ার টেস্ট সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। কোম্পানির মতে, নিউ গ্লেন ৪৫,০০০ কিলোগ্রাম (৯৯,০০০ পাউন্ডের বেশি) পেলোড নিম্ন পৃথিবীর কক্ষপথে নিয়ে যেতে সক্ষম, যা স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯-এর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। Blue Origin আশা করছে যে তাদের প্রথম ফ্লাইটেই বুস্টারটি সফলভাবে ল্যান্ড করা সম্ভব হবে।
তথ্যসূত্র: CNBN, The Verge, Blue Origin, The Business Standard, Space News, Yahoo(tech)